বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী আবদুল্লাহ আল নোমান মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। আজ মঙ্গলবার সকালে ছয়টার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়। বিএনপির চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের পক্ষ থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
রাজধানীর একটি হাসপাতালে আবদুল্লাহ আল নোমানের মৃত্যু হয়। বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবীর খান আজ প্রথম আলোকে বলেন, আজ ভোরে রাজধানীর ধানমন্ডির বাসায় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন আবদুল্লাহ আল নোমান। দ্রুত রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। তাঁর জানাজা ও দাফনের বিষয়ে দলীয়ভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আজই চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সমাবেশে প্রধান বক্তা থাকার কথা ছিল আবদুল্লাহ আল নোমানের। মৃত্যুর পর এ সমাবেশ স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে।
আব্দুল্লাহ আল নোমান মরহুম মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর সঙ্গে রাজনীতি করেন। পরে বিএনপিতে যোগ দেন জিয়াউর রহমানের সময়।
আবদুল্লাহ আল নোমানের মৃত্যুতে শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বাসসের খবরে জানা যায়, বিএনপি নেতা আবদুল্লাহ আল নোমানের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল এবং তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।
এক শোকবার্তায় আবদুল্লাহ আল নোমানের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন আইন উপদেষ্টা। এতে তিনি শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
পৃথক শোকবার্তায় তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়ে বলেন, আবদুল্লাহ আল নোমান ছিলেন ত্যাগী রাজনীতিবিদ। রাজনৈতিক অঙ্গনে তিনি ব্যক্তিত্বসম্পন্ন নেতা হিসাবেও পরিচিত ছিলেন। তাঁর মৃত্যু দেশের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি।